প্রান্তরের দিক থেকে আধো আধো জ্যোৎস্না
হরণ করেছে আমার হৃদয়
সোঁদা চুলের নরম গন্ধে তারারা ঘুমিয়েছিলো দু’চোখের বিছানায়,
তোমাকে বলিনি সেসব কথা,
বললে যদি আমার অভিমান
তোমায় আচ্ছন্ন করে!
বলিনি প্রতীক্ষা কী করে আস্তে আস্তে
নির্জীব করে দেয় চঞ্চল মন
কী করে দু’ঠোঁটের কম্পনে নেমে আসে রাতের নিস্তব্ধতা,
বলিনি তৃষ্ণা জড়িয়ে থাকার অস্বস্তি নাভিমূলে।
তোমাকে কখনোই চিঠি লিখবোনা
কারণ, খামের ভাঁজে নিরন্তর আমার ছাই রঙা স্বপ্নের আনাগোনা ।
প্রকৃতির চত্বরে বিছিয়ে দিতে ইচ্ছে করে
কুসুম কুসুম প্রেম
তাতে হয়তোবা তোমার ওমে সতেজ হতে পারতো ওরা
কিন্তু না তাও করবোনা।
উদবাস্তু উদ্বেগ শেষ বিকেলের রক্তিমে যতটুকু ইচ্ছে আবেগ ঝরাক
ওরা ঋণী হোক তোমার উদাসীনতায়,
ঠোঁট জোড়া করুক তোমার স্তুতি
শত নীরবতা নত হোক তোমার আঙিনায়,
আমি শুধু নিঃশব্দে ছুঁয়ে যাবো
দক্ষিণের বুক-ভাঙা বাতাস।
অবশেষে আমি হারিয়ে যাবো দিগন্তের ওপারে
রাত্রি নামা সৈকতের মিহি বালুতে পুঁতে রাখবো উচ্ছল বসন্ত
মধ্যরাতের আচানক ঢেউয়ের দোলায় তুমি দেখতে পাবে আমার পরাজয়ের ফেনিল জল।
ওরা দুলবে দুলবে শুধু দুলবে
তবুও বলবেনা ‘ভালোবাসি’।
একদিন তুমি জানবেই সে কথা,
দূরদর্শী হৃদয় ও চিবুকে বারবার কেঁপে উঠবে পরাভূত মানুষের অনন্ত বেদনা।
আমায় নেবার জন্য উদগ্রীব হবে,
ভ্রমরের ফুলের রেণু নেবার মতো করেই আমাকে নেবে তোমার গভীরে,
আমি নতজানু হয়ে তোমার কালস্রোতে ভেসে যাবো
ভেসে যাওয়া সেই প্রেমকে জড়াবো অসাড় চুম্বনে…