বাংলাদেশ II সোহেল মিয়াজি, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ১০ জানুয়ারি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
পাকিস্তানের কারাগারের কনডেম সেলের দীর্ঘ ২৯০ দিন পর অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিলেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূ-খন্ডের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তা’র ঠিক দুদিন পর (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু প্রথম পা রাখেন তাঁর বহু কাঙ্খিত স্বাধীন বাংলার বুকে।
সেদিনই পূর্ণতা লাভ করে বাঙ্গালীর বিজয় ও স্বাধীনতা। বাঙ্গালী জাতি প্রান খুলে হেঁসেছিল, আনন্দের বন্যায় ভেসেছিল বাংলার আকাশ বাতাস।
পাকিস্তানি হানাদারের বিরুদ্ধে নয় মাস কঠিন যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বাঙালি জাতি প্রকৃতপক্ষে পূর্ণ বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল তাঁর ২২ দিন পর বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংবাদের মধ্য দিয়ে।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথমেই দেশের মানুষের খোঁজ নেন। কেমন ছিল, কেমন আছে তারা? ৮ তারিখ লন্ডন থেকে তাঁর সহযোদ্ধা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,
হ্যালো তাজউদ্দিন, আমি সাংবাদিক পরিবেষ্টিত আছি, তাদের কী বলবো? দেশের মানুষ কেমন আছে? বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশে যে অগণিত নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছেন, এই মুহূর্তে তাদের কথা আমার জানতে খুব ইচ্ছে করছে!”
খুবই খারাপ একটি স্থানে কল্পনাতীত একাকীত্বে বন্দিজীবন কাটাতে হয়েছে উল্লেখ করে বলেন,
কোন রেডিও নেই, চিঠি নেই। বাইরের জগতের সঙ্গে কোন যোগাযোগই ছিল না। মৃত্যুর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। যেদিন জেলে নেওয়া হলো সেদিন বাঁচবো কিনা ধারণা ছিল না। তবে এটা জানতাম বাংলাদেশ মুক্ত হবেই। আমার দেশের লাখ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছে। নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়েছে।”