আর্লি-স্টার ডেস্ক।। শনিবার সকালে পাওলো রস্বির অনুমোদিত কাথেড্রালে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া হবে শুধুমাত্র পরিবার কর্তৃক আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে এবং সে অনুষ্ঠানটি টিভিতে সকাল ১০:৩০ থেকে সরাসরি প্রচারিত হবে বলে জানিয়েছে ভিসেন্ছা পৌরসভা।
পাওলো রস্বি গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর ২০২০) মাত্র ৬৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ফূসফুসজনিত সমস্যার কারণে অসুস্থ ছিলেন।
বৃহষ্পতিবার ভারাক্রান্ত মনে মেয়র ফ্রান্সেস্কো রুকো বলেন, আজ সকালে অনেক বড় একটা দুঃসবাদের মাধ্যমে ভিসেন্ছাবাসী জেগে উঠলেন, আমাদের অতি সম্মানীত নাগরিক পাওলো রস্বিকে হারিয়ে। কেবল ভিসেন্ছার ভক্ত এবং ফুটবল অনুরাগীদেরই নয়, ভিসেন্ছার নাগরিকদের জন্যও এই সময়ের একজন রেফারেন্স ফিগার ছিলেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, আমরা পরিবারের সাথে পাওলোর শেষ ইচ্ছে অনুসারে শেষকৃত্যের আয়োজন করতে কাজ করছি, যা শনিবার সকালে ভিসেন্ছার ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত হবে। অত্যন্ত দুঃখের মুহূর্তেও খোলা বাহুতে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই।
শনিবার পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোক প্রকাশ এবং পাওলোকে সম্মান জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পাওলোর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী উরুর হাড় ভেঙে গিয়েছিল। ফিরে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছিলেন এবং তাকে আগের চেয়ে শক্তিশালী বলে মনে হয়েছিল। তারপর পলিক্লিনিক লে স্কোটে হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁর ফুসফুসে তীক্ষ্ণ তরল পদার্থ থাকায়, তবে আমাদের এমন আকস্মিক পরিণতি হবে, পরিবারের কেউই তা ভাবতে পারিনি।
উল্লেখ্য, রস্বি ছিলেন একজন ইতালিয়ান পেশাদার ফুটবলার। ১৯৮২ সালে, ফিফা বিশ্বকাপে ইতালির নেতৃত্ব দেন, শীর্ষ গোলদাতা হিসাবে গোল্ডেন বুট জয়ের উদ্দেশ্যে ছয়টি গোল করেন এবং টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়ের জন্য গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে গ্যারিনচা এবং ১৯৭৮ সালে মারিও কেম্পেসের সাথে বিশ্বকাপে তিনটি পুরষ্কার জিতেছিলেন। রস্বি ছিলেন তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম। রসিকে ১৯৮২ সালে ব্যালন ডি’অর পুরষ্কারও দেওয়া হয়েছিল।