ইদানিং বিশেষ বিশেষ খবরে মৃত্যুর ছায়া খুঁজে পাই,
দরোজার ওপাশে মৃদু শব্দে আমার ঘুম
ভেঙে যায়
আমাকে কেউ যেন আমার আশৈশবের পরিচিত মুখ দেখিয়ে বলে;
‘আমাকেও যেতে হবে, একদিন আমার জন্য যা ছিলো মধুময়; সব ছেড়ে-ছুড়ে।’
একদিন সকাল-সন্ধ্যা পৃথিবীর সব আয়োজনে নেচে উঠতো মন,
ডাহুকীর সুরে স্বপ্ন ভাঙ্গতো সোনালী প্রভাতে,
পাতাঝরা শব্দে মন বিষাদের ছবি আঁকতো পৃথিবীর ক্যানভাসে,
হিজলতলার ছায়ায় মায়া জড়ানো মিষ্টি বাতাসে চোখ জোড়া আলস্যে নিভিয়ে দিতো সূর্যের বাতি,
নারীকে চিরযৌবনা নদী; সাগরকে যৌবন উদ্দীপ্ত পৌরুষ;
যেন আমিও ওসবে; সকল আদিমতায় ঢেলে সাঁজাতাম তোমাকে।
একদিন মনে হতো আমার হাতের তালুতে বন্দী সব; পৃথিবীর তাবত সৌন্দর্য…
স্রষ্টার সকল ইচ্ছে আমার কপালে— যেন আমিও বেড়ে উঠছি চারিপাশের বসন্তদিনের মতো।
ইদানিং সব ছন্দহীন-কর্মহীন—হাজার আলোকিত চোখ ফিরিয়ে নেয় স্রষ্টার চাওয়াতে,
ইদানীং বিশেষ বিশেষ খবরে মন আড়ষ্ট ঘুমের রেসে হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে।
ইদানিং হাজার বছরের প্রিয়োতমা তুমিও অপরিচিতা কোন নারী;
যেন হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোন দেবী;
নিয়মের ছলনায় আবিষ্ট অসামাজিক নারী কিংবা ছলনাময়ী।
ইদানিং হারিয়ে যাই; হেরে যাই ঘুমের ঘোরে; তলিয়ে যাই মহাকালের গর্ভে।