পাবেল খান চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাহুবল উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে এক ছাত্রকে হবিগঞ্জ সরকারী বৃন্দাবন কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রকে ডেকে নিয়ে গাছের সাথে বেধেঁ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে উক্ত কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে এই প্রতিবাদ সভা ও মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ওই ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাপ হবিগঞ্জ জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা গাজী, নাইমুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, জুমেল, ফয়সল আহমেদ তুষার, নজরুল ইসলাম, সুহাগ, হৃদয়, কিবরিয়া রহমান প্রমুখ।
শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে সহমত পোষণ করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের দ্বিমুড়া কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাই এর বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্র ফয়সলকে খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। ১ নভেম্বর সকালে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সলকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। তখন নির্যাতিত ছাত্রটি বাঁচার জন্য আকুতি এবং বার বার আল্লাহ অল্লাহ বলে চিৎকার করেও রক্ষা পায়নি। এরপরও চলে বর্বর নির্যাতন। ২ নভেম্বর কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইর স্ত্রী জাহানারা আক্তার লিপিকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজ কলেজ ছাত্রর মা। কলেজ ছাত্র ফয়সল বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফয়সলের ভাই কাউছার মিয়া জানায়, মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে এখনও স্মৃতি ফিরে আসেনি। নির্যাতিত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। সে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।