করোনাভাইরাস সঙ্কটে বিপর্যস্ত ভারত। রাজধানী শহর নয়াদিল্লিতে শ্মশানের বাইরে লাশের সংখ্যা প্রতিদিন নতুন রেকর্ড করছে, অ্যাম্বুলেন্সের পরে অ্যাম্বুলেন্স মৃতদের শ্মশানের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।
করোনাভাইরাস II আর্লি-স্টার বার্তা কক্ষ:
দিল্লিতে এত সংখ্যক মরদেহ শ্মশান করেছে যে, কোভিড -১৯ এর রেকর্ডকৃত আক্রান্তদের সামলাতে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার জন্য নগরের পার্কগুলো থেকে গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মানুষের দেশ ভারতে সোমবার পঞ্চম দিনের মতো নতুন দৈনিক সংক্রমণের বিশ্বব্যাপী রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ৩৫২,৯৯১ টি নতুন কেসসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে ভারতের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ মিলিয়ন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৮৮১ তে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৫,২২৩ এ পৌঁছেছে।
নয়াদিল্লির বৃহত্তম মুসলিম কবরস্থানে মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী এক হাজার মানুষকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বর্তমানে লাশের সংখ্যা অনেক বেশি।
নগরীর বিশ্রাম ঘাট শ্মশানে কর্মীরা বলেন, তারা শনিবার ১১০ জনেরও বেশি লোককে শ্মশান করা হয়েছে। “ভাইরাসটি আমাদের শহরের লোকদের দৈত্যের মতো গ্রাস করছে,” – বলেন সাইটের এক কর্মকর্তা মমতেশ শর্মা।
দেহগুলির অভূতপূর্ব ভিড় শ্মশানকে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান এবং সম্পূর্ণ আচার অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করছে।
শর্মা আরও বলেন, “আমরা কেবল মৃতদেহগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলছি”- মনে হচ্ছে যেন আমরা কোন যুদ্ধের মাঝামাঝি।
এক মহিলা তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, যার বয়স ছিল ৫০ বছর। তিনি দুটি হাসপাতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তৃতীয় স্থানে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় মারা যান। অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
তিনি এই সঙ্কটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে দোষারোপ করে বলেন, “তিনি প্রত্যেক বাড়িতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া জ্বালিয়ে দিয়েছেন, দ্য কারভান ম্যাগাজিনের একটি ভিডিওতে তিনি এসব বলেন।