অর্থনৈতিক কাঠামোর দিক থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যস্ততম একটি সড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে।
পার্বত্য দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, টেকনাফ, এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ,
পর্যটকদের আকর্ষণ সেন্টমার্টিনসহ দুই-দুইটি বড় জেলার সাথে পুরো বাংলাদেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম, কোন এক প্রাচীনকালে নির্মিত এক লেইনের ভাঙ্গা-চোরা সড়কটি।
শুধু লক্ষ নয়, কোটি মানুষের বাসস্থান এই দুইটি জেলার মধ্যে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে যেতে পাড়ি দিতে হয় এই মৃত্যু ফাঁদ। এই একটি মাত্র এক লেইনের হাইওয়ের মাধ্যমে দিনের পর দিন মানুষজনকে চলাচল করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে কংক্রিটের কুচকুচে কালো পিচ ঢালা রাস্তা টকটকে লাল হয়ে উঠে মানুষের রক্তে। এই সড়কে দিনের পর দিন মানুষ গবাদিপশুর মতো প্রাণ হারাচ্ছে। দীর্ঘ ১৫০ কিলোমিটারের সড়কটি যেন যোগাযোগের মাধ্যম নয়, হয়ে উঠেছে মৃত্যুর ফাঁদ।
এই যে বিগত ২১ তারিখ কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে পাঁচ যুবকের তরতাজা লাশ ফিরে এসেছে ঘরে। লাশের গন্ধ বাতাসে মিশে যাবার আগেই আবার ২৩ তারিখ ৬ জনের মৃত্যুসহ আহতের ঘটনা। এই সড়কে ঘটিত মৃত্যুর মিছিলে হাজার হাজার মানুষের নাম জড়িয়ে আছে। সড়কের মৃত্যু ফাঁদ থেকে রেহাই পাচ্ছে না যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা কিংবা শিশুরা।
যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ, এই ভাবে সড়কে গবাদি পশুর মতো মৃত্যু আমরা চাই না। আমরা সাধারণ জনগণ স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চিয়তা চাই।
লামিয়া ফেরদৌসী
শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।