ইতালির পালেরমো শহরে “ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ” এর স্বীকার হয়েছে দশ বছরের শিশু। মস্তিষ্কে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁর হার্ট থেমে যায়।
ইতালি Ii সৈয়দা হাসিনা দিলরুবা, সম্পাদনা ডেস্ক:
মুঠোফোনে টিকটকের একটি “ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ” এর ম্যাসেজ পেয়ে শিশুটি বাথ টাওয়ালের বেল্ট নিয়ে বাথরুমে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
চ্যালেঞ্জটি ছিল এমন: গলায় একটি বেল্ট বেঁধে নিঃশ্বাস বন্ধ করে, দুই দিক থেকে বেল্টটিকে শক্ত করে টান দিয়ে পরীক্ষা করা, নিঃশ্বাস না নিয়েও কিভাবে বেঁচে থাকা যায়।
এই উদ্ভট খেলাগুলো সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করে কিশোর-কিশোরীরা। এর আগেও মারাত্বকভাবে খেলাটির স্বীকার হয়েছে অনেক ছেলেমেয়ে। এবার হলো এই ছোট শিশুটি!
শিশুটি বাথরুমে চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিল। নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে গিয়ে অবশেষে শক্তি ছাড়াই নিজেকে আবিষ্কার করে মাটিতে লুটে পড়ে।
তার বাবা-মা তাকে বাথরুমে গলায় বেল্ট লাগানো, অচেতন অবস্থায় পেয়ে, হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে শিশুর চাচা বলেন: “আমরা ১১৮ (জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা) তে ফোন করেছিলাম কিন্তু একটি রেকর্ডিং উত্তর আসছিল, এরপর আমরা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই।
এরপর মেয়েটি মস্তিষ্কে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁর হার্ট থেমে যায়।
এ ব্যাপারে এক প্রতিবেশি বলেন, শিশুটির মায়ের চিৎকারে পুরো গলিটি কাঁপছিল। মায়ের কন্ঠে শুধু শুনতে পাচ্ছিলাম, আমার বাচ্চা মরে গেছে, আমার বাচ্চা মরে গেছে!
শিশুর মৃত্যুতে ইতালির পালেরমো শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্কুলগুলোতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
শিশুটির মৃতদেহ গবেষণার কাজে দান করা হয়েছে। তাঁর সেলফোনটি পুলিশ আটক করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে ইউনিসেফ এর দেয়া তথ্যমতে, প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বা প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন জগতে প্রবেশ করে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছিল, ডিজিটাল দুনিয়ায় এই প্রবেশ তাদের সামনে উপকার ও সুযোগের বিশাল দ্বার উন্মোচন করে, একই সঙ্গে তাদেরকে ঝুঁকি এবং ক্ষতির মুখেও ফেলে।