বড় বোন বিয়ে করলো না সময় মতো, কারণ মা বাবা নেই ভাইটাকে কে মানুষ করবে? বোনের এখন আর বিয়ের কাজ কাম আসে না! বিয়ে করতে চাইলেও আর সম্ভব না,কারণ বয়স একটা বিষয় আছে!
ভাই বড় হয়েছে তবে, মানুষ হতে পারেনি। খারাপ সঙ্গে মিশে সেই খারাপ হয়েছে। তাকে প্রতি দিন টাকা দিতে হয়, জানতে চাইলে সরাসরি এখন বলে, নেশা করব। এই ভাবে চলতে থাকলো, বছর মাস যুগ। মানুষের কাছে সব সময় টাকা থাকে না এটাই নিয়ম। কিন্তু ভাইটা নেশার জন্য তা ভুলে যায়! টাকা না দিলে বোন বড় তাকেও মারে রক্তাক্ত করে ফেলে, বোন এ সব সয়ে যায় ভাইয়ের মুখে চেয়ে। একটা কথা তাহলো, নেশা গ্রস্ত ব্যাক্তি কে কখনো লায় দিতে নেই। তাকে লায় বা প্রশ্রয় দিলে সে বেড়েই চলে। এই ঘটনা ঠিক তাই হয়েছে।
ভাই টিকে পুলিশ কয়েক বার ধরে নিলেও বোন কে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে বার বার, আর তো কেউ নেই ভাইয়ের!
মা বাপ হারা ভাই, তাকে বোন না দেখলে কে দেখবে? এই জন্য, যখন যা চেয়েছে তাকে বোনে তাই দিয়েছে। নেশা যখন চরম অবস্থায় গেছে তখন কি হলো শুনেন।
ঘরে টাকা নেই, বোনের কাছে বলছে টাকা দিবি আমায়। বোনে বলছে কালকে টাকা দিলাম তা দিয়ে চল গিয়ে আবার পরে দিমুনি। ভাইয়ের টাকা লাগবে এক হাজার। এক হাজার না হলে সে নেশা করতে পারবে না। ভাইয়ে আবার বলছে টাকা লাগবে টাকা দে! ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে পাশের বাড়ি থেকে পাঁচ’শ টাকা এনে দিয়েছে কিন্তু তাতে হবে না। ভাইয়ে টাকা লয় নাই। এ দিকে নেশার মাত্রা বেড়েই চলছে এক সময় মাথায় রক্ত উঠে যায়। হাতের কাছে বাঁশের লাঠি ছিলো, সেই লাঠি দিয়ে মারতে লাগলো,বোনে দৌড়ে ঘরে গেলো,কিন্তু ঘরে গিয়ে দরজা লাগাতে পারলো না! তার আগেই ভাইয়ে চলে এলো মারতে মারতে সব শেষে মাথার মধ্যে একটা বাড়ি দিলো তাতেই আর সাড়াশব্দ নেই! সব শেষ! বুঝতে পারলো ভাইয়ে মরে গেছে দূরে গিয়ে হাঁপাতে লাগলো! তারপর মানুষ জন এলো, তাদের রেখে সে মোবাইল হাতে নিয়ে, পুলিশ কে ফোন করলো নিজে। পুলিশ কে বলছে কই তোরা? আয় বার বার ধরে নিয়ে যাস এবার আয়, আমি খুন করেছি তাড়াতাড়ি আয় লাশ লয়ে যা! তারপর পুলিশ এলো লাশ সহ তাকে ধরে নিয়ে গেলো, বাড়ি ঘর এখন খাঁ খাঁ করে শূন্য ভিটা পড়ে আছে!
২০২১-০২-০৭