ফেসবুক আমাদের জন্য সহায়ক নাকি ক্ষতিকর এই প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ মানুষের মুখেই ফেসবুকের নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রকাশ পায়!
বিজ্ঞান বলেন, প্রযুক্তি বলেন অথবা তারই অংশ গুগোল, ফেসবুক; প্রতিটা ক্ষেত্রে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই বিষয়ই বর্তমান। আমরা কোন দিকটাকে কিভাবে ব্যবহার করছি বা ভাবছি তার উপর নির্ভর করে সেটা খারাপ নাকি ভালো।
প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ণে পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা গড়ে তুলছে ফেসবুক। আমি নিজেও চার বছর এমন একটি সংস্থায় কাজ করেছি এ ফেসবুক আর গুগলের বদৌলতে। হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়েদের কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে ফেসবুক। করোনার এই সংকটকালে “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা”কে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছে ফেসবুক, আমরা কি তা দেখছি?
আজ দেশের জাতিয় পত্রিকাগুলো দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাঠক তৈরি করছে ফেসবুকের বদৌলতেই। মনে পড়ে, যখন কলেজে পড়াশুনাকালীন সময়ে আমরা কয়েকজন সহপাঠী মিলে একটা সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতাম, মা-বাবার পকেট থেকে টাকা নিয়ে পত্রিকার খরচ যোগাতে হত। অনেক সময় স্কুল কলেজের ভিতরে হকারও হতে হয়েছে পত্রিকার খরচ চালানোর জন্য। আজ গুগোল, ফেসবুক কত সুযোগ করে দিয়েছে!
এক সময় অনেক ভালো ভালো লেখকদের পাণ্ডুলিপি ঘরের কোণেই পড়ে থাকতো, আজীবন প্রকাশকদের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতেন; হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারতেন না বলে নিজের লেখাটাকে পাঠকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হতো না!
আজ ফেসবুকের বদৌলতে যে যাই লিখছেন ভালো-মন্দ খুব সহজে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারছেন, এটাও কম কী! সরাসরি পাঠক প্রতিক্রিয়া জানার কারণে উৎসাহ বাড়ছে, একসময় হয়তো ভালো লিখতেও পারছেন কিন্তু আমরা এসব নিয়ে ভাবি না কারণ সব বিষয়ে শুধু নেতিবাচক ভাবনাতেই অভ্যস্ত!
সৈয়দা ইয়াসমীন