আর্লি-স্টার ডেস্ক:
সুদান, ইউএই এবং বাহরাইনের পর এবার মরক্কো ইসরায়েলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজী হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটার আ্যাকাউন্ট থেকেও একই ঘোষণা পাওয়া যায়।
মরক্কো সেই ১৯৭৫ সাল থেকে এই চেষ্টায় আছে, তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মত বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির স্বীকৃতি মরক্কোর জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি কূটনৈতিক সাফল্য কিন্তু যে পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে মরক্কোকে ট্রাম্প তার তথাকথিত “আব্রাহাম চুক্তির“ অংশীদার করেছেন – তার সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিতে শুরু করেছে।
৪৫ বছর যাবৎ ওয়েস্টার্ন আফ্রিকা নামে সাবেক স্প্যানিশ উপনিবেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যে বিরোধ চলছে – এর সরাসরি পক্ষপাতিত্ব করে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ঐ এলাকার ওপর মরক্কোর একক সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
বাস্তবে মরক্কোর জন্য ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় সার্বভৌমত্ব কায়েম করা কতটা সহজ হবে?
ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় মরক্কোর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে পলিসারিও ফ্রন্ট। তারা বলেছে, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের সনদের নগ্ন লঙ্ঘন।“
রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান ও মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ওয়েস্টার্ন সাহারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মরক্কোর জন্য একটি “কূটনৈতিক বিজয়“ সন্দেহ নেই, “কিন্তু এই বিজয়ের ফসল কীভাবে, কত সহজে তারা ঘরে তুলতে পারবে, তা অনিশ্চিত।“ পলিসারিও ফ্রন্টের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে আলজেরিয়া ক্ষুব্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি