দক্ষিণ বঙ্গের একুশ জেলার মানুষের আজন্ম স্বপ্ন ছিলো একদিন পদ্মা সেতু হবে, ঢাকার সাথে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে, সময়ের ব্যপার মাত্র। তাদের সেই স্বপ্ন মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টা ও অসংখ্য শ্রমিকদের সহযোগীতায় সেটা এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ২০০৯ সালে নিয়োগ করা হয় পদ্মা সেতুর ডিজাইন কনসাল্ট্যান্ট। পদ্মা সেতুর শুরুটা বন্ধুর পথ ছিলো না, বিরোধী দলের উপহাস, বিদ্রুপাত্নক কথা, বিশ্ব ব্যাংকের মাঝ পথে মুখ ফিরিয়ে নেয়া, সর্বোপরি পদ্মা নদীর উত্তাল ঢেউ কিংবা তীব্র স্রোত, সব বাধা একজন শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত একটি বিশাল মেগা প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যান। করোনার মহামারিতে বিশ্ব যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে, শেখ হাসিনা তখন ব্যস্ত পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নে।
বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে হয় যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন দিন রাত। তারা কাজ করেছেন সেতু সংশ্লিষ্ঠ বিভাগে, এমনকি অনেক শ্রমিক ঈদে বাড়ি পর্যন্ত যান নি, তাদের ব্রত ছিলো পদ্মা সেতুর কাজ শেষ না করে বাড়ি ফিরবেন না স্যালুট সেই সমস্ত ভাইদের, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই পদ্মা সেতু। শুধু কি পদ্মা সেতু, দুই পাশে চোখ ধাধানো সংযোগ সড়ক যেনো মনে করিয়ে দেয় ইউরোপ-আমেরিকার আবহ।একজন শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলেই পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, এর দ্বারা দক্ষিণ বঙ্গের সাথে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগের নতুন মাত্রা যোগ হলো, যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হবে এই অঞ্চল, কর্মসংস্থান হবে শত শত বেকার যুবকের।
রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু ভালোকে ভালো বলার সৎসাহস থাকা উচিৎ। বাংলাদেশের মত একটি স্বল্পোন্নত দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশী কোনো সহযোগীতা ছাড়া ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা খরচ করে সেতু নির্মানের পরিকল্পনা শুধু সাহস না দুঃসাহস-ই বটে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সাহস করেছিলেন বলেই মংলা বন্দর ও বন্দর নগরী চট্রগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
সঠিক পরিকল্পনা করলে পদ্মা সেতুর দুই পাশে হতে পারে ভেনিস,পাতেয়া বা চিনের সাংহাইয়ের মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমন নগরী। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী বিজয়ের মাসে বাংলাদেশ কে এমন একটি সুখবর দেওয়ার জন্য কারন এটাও আরেকটা অপশক্তির বিরুদ্বে বিজয়।
আবু তালিব হোসাইন মিঠু
দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইতালি।