তোমার প্রেম মেশানো হাতের পরশের জন্য
তোমার আঁখির তারায় উচ্ছ্বসা দেখার অভিপ্রায়ে
লাউয়ের বীচির মত চকচক করে দাঁত বের করা হাসির জন্য
বিকালের সমীরণে বাঁশ বাগানের ডানে-বামে হেলে দুলে পড়ার মতো
তোমার এলোকেশী মাথা দোলানোর ছন্দের জন্য
সুখ হাসিতে ললাটের ভাঁজ দেখার জন্য
অবুঝ শিশুর ন্যায় নিষ্কলুষতা দেখার ইচ্ছায়
পার্থিব সবকিছু ভুলে যাওয়ার মুহূর্তের আকাঙ্ক্ষায়…
যে পারে কাঁদতে দুঃখীনির মতো
যে পারে লড়তে রোস্তমের মতো
যে পারে শ্রম দিতে পিপীলিকার মতো
যে বলাকার মতো ঝড়ের সময় পারে উড়তে
মধুলেহ’র মতো যে পারে সহস্র পুস্প থেকে ফুলরস সংগ্রহ করতে
যে হারকিউলিসের মতই কঠিন কাজ করতে দ্বিধা করবে না
কে সেই জনা বলো?
হ্যাঁ! আমি সেই একবিংশ শতাব্দীর দেবদাস
আমি ইউসুফ প্রণয়ে পাগল জুলেখা
আমি ফরহাদ, শিরির জন্য উম্মাদ
আমি মজনু, লাইলির প্রাসাদের কুকুরের পদচুম্বক
আমি কৃষ্ণ
আমি এলিজাবেথ এসেছি এ্যামেরিকা থেকে
আমি ক্যাথি
আমি স্যাওমা
কিংবা ইরানের দূহিতার প্রণয়ের জন্য উদগ্রীব কবি
ইংল্যান্ডের সিংহাসন চ্যূত রাজা
তুমি এক মুহূর্তের জন্যেও বুঝনি
ভেবেও দেখোনি একবার
শুধু করেছ অবহেলা
ঘৃণামিশ্রিত দৃষ্টি।
মীম মিজান,
কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক,
বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।