আমার নানি, দাদিরা গল্প বলতে জানেন না
চামড়া ভাঁজে সময়ের সাঁজে
গল্পেরাই জমে থাকে।
লাজুক বৌ থেকে নানি- দাদি হওয়ার গল্প।
পুঁই শাক-কলমীর ডালে, রাঙিয়ে থাকা নানা গল্প।
নানা- দাদাদের সদাইয়ের ব্যাগে লুকিয়ে লুকিয়ে চুলের রাবার, আলতা, ফিতা কিংবা টুকটুকে লাল লিপিস্টিক আনার গল্প।
দিনের পর দিন সম্পদ- সৌহার্দ্য,
হাতের রেখা ভাঁজ পরে যাওয়ার গল্প।
কৃষিকাজের বেড়াজাল, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কিংবা পাশের বাড়ির ননদ ননশের আহ্লাদী কিংবা খোঁটার গল্প।
ডানে স্তনের বোঁটায় শিশুর মুগ্ধ হাসি দেখায় সময় ছিলো না তখন,
বামে সারতো উনুনের বুনন।
তখন গল্পেরা জ্যোৎস্নায় ঢলে পড়ত জৈষ্ঠ্যের উঠোনে,
রূপোর থালায় সুখের আবাদ হতো।
দুঃখ ছিলো সাময়িক
তখন গোলা ভরা ধানে সুখেরা ছিলো,
আর এখন…?
সবই আছে শুধু সুখটাই যেন হারিয়ে গেছে বিত্তে।